সর্বশেষ আপটেড
চারপাশের বিভিন্ন শ্রেণীভূক্ত প্রাণীর গুরুত্ব ও এদের সম্পর্কে সচেতনতা
৬ষ্ঠ শ্রেণি ৯ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বিজ্ঞান
শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান বিষয়ের তৃতীয় অ্যাসাইনমেন্টের শিক্ষাক্রমে উল্লেখিত শিখনফলের বিভিন্ন বিষয় যেমন জীবের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করতে পারা, প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য আলোকে জীবজগতের শ্রেণীকরণের করতে পারা, সপুষ্পক ও অপুষ্পক উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করতে পারা, মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করতে পারা, চারপাশের জীবজগৎ সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং মানব জীবনে উদ্ভিদের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে সক্ষম হওয়া সংক্রান্ত জ্ঞান অর্জন করার পর এই এসাইনমেন্ট সম্পন্ন করবে। এর আগে চতুর্থ সপ্তাহে ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান পাঠ্যবই থেকে ক্ষেত্রফল ও আয়তন নির্ণয়; দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতার সাহায্যে পরিমাপ করে খাতায় লিখ সংক্রান্ত এসাইনমেন্ট দেয়া হয়েছিল। নবম সপ্তাহের ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের দ্বিতীয় এসাইনমেন্ট বাংলা নোটিশ ডটকমের পাঠকদের জন্য বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো। এবং পিডিএফ আকারে দেয়া হল।অ্যাসাইনমেন্টঃ তোমার চারপাশে থাকা বিভিন্ন শ্রেণীভূক্ত দশটি প্রাণীর নাম বাছাই করে শ্রেণীবিন্যাস করো। মানবজীবনে এদের গুরুত্ব উল্লেখ করে এদের সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কি কি পদক্ষেপ নেয়া যায়- এ লক্ষ্যে একটি প্রতিবেদন তৈরি করো।
অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নির্দেশনাঃ শিক্ষার্থীরা প্রাণের নাম গুলো লিখে শ্রেণীবিন্যাস করবে। মানব জীবনে এই প্রাণীগুলোর গুরুত্ব উল্লেখ পূর্বক এদের সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিবেদন তৈরি করবে।৬ষ্ঠ শ্রেণি ৯ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বিজ্ঞান উত্তর
অ্যাসাইনমেন্টে দেওয়া মূল্যায়ন নির্দেশনা এবং মূল্যায়ন রুবিক্স কিউব অনুসরণ করেন ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য নবম সপ্তাহের বিজ্ঞান বিষয়ের দ্বিতীয় এসাইনমেন্ট এর একটি বাছাই করা নমুনা উত্তর প্রস্তুত করে দেয়া হলো। এটি অনুযায়ী তোমাদের বিজ্ঞান বিষয়ের দ্বিতীয় সম্মেলন সম্পন্ন করলে সর্বোচ্চ মার্ক পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আজকের আলোচনায়- চারপাশের বিভিন্ন শ্রেণীভূক্ত প্রাণীর গুরুত্ব ও এদের সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য যে যে পদক্ষেপ নেওয়া যায় সেগুলোর ব্যাখ্যা করা হবে। তোমার চারপাশে দেখা বিভিন্ন শ্রেণীভূক্ত দশটি প্রাণীর নাম বাছাই করে ছকে শ্রেণীবিন্যাস কর। মানবজীবনে এদের গুরুত্ব উল্লেখ করে এদের সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যায়- এ লক্ষ্যে একটি প্রতিবেদন তৈরি করো।চারপাশে দেখা বিভিন্ন শ্রেণীভূক্ত দশটি প্রাণীর নাম বাছাই করে ছকে শ্রেণীবিন্যাস ও মানবজীবনে এদের গুরুত্ব উল্লেখ করে এদের সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ
সহজে সুশৃংখলভাবে বিশাল প্রাণী জগতকে জানার জন্য যে শ্রেণীকরণ করা হয়, তাই শ্রেণীবিন্যাস। জীব বিজ্ঞানীগণ বিভিন্ন সময়ে জীবকে শ্রেণীবদ্ধকরণের চেষ্টা করেছেন। সর্বাধুনিক পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেন ১৯৭৮ সালে বিজ্ঞানী মারগিউলিস ও হুইটেকার। পৃথিবীর সকল প্রাণীকে শ্রেণীবিন্যাসের পদ্ধতি অনুযায়ী অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের একটি পর্বের নাম কর্ডাটা। কর্ডাটা পর্বের সকল প্রাণীকে মাত্র দুইটি দলে ভাগ করা যায়। যথা-- অমেরুদণ্ডী ও
- মেরুদণ্ডী।
আমার চারপাশে দেখা বিভিন্ন শ্রেণীভূক্ত দশটি প্রাণীর নাম :
- গরু,
- মৌমাছি,
- রেশম পোকা,
- রুই মাছ,
- চিংড়ি,
- কোকিল,
- হাঁস,
- কুকুর,
- বিড়াল,
- টিকটিকি।
অমেরুদণ্ডী প্রাণী :
অমেরুদণ্ডী প্রাণীর মেরুদণ্ড নেই, এদের দেহের ভিতর কংকাল থাকে না, চোখ সরল প্রকৃতির বা একটি চোখের মধ্যে অনেকগুলো চোখ থাকে যা পুঞ্জাক্ষি নামে পরিচিত। এদের লেজ নেই।- মৌমাছি, রেশম পোকা, চিংড়ি হলো অমেরুদণ্ডী প্রাণী।
মেরুদণ্ডী প্রাণী :
এদের মেরুদন্ড আছে। দেহের ভিতর থাকে পাখনা বা দুই জোড়া পা থাকে। চোখ সরল প্রকৃতির। মানুষ ছাড়া সকল মেরুদন্ডী প্রাণীর লেজ থাকে। এরা ফুলকা বা ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।- উপরোল্লিখিত প্রাণিগুলোর মধ্যে গরু, রুই মাছ, কোকিল, হাঁস, কুকুর, বিড়াল, টিকটিকি হলো মেরুদণ্ডী প্রাণী।
মানবজীবনে এদের গুরুত্ব-
মৌমাছি, রেশম পোকা হলো উপকারী পতঙ্গ। এদের দেহ তিনটি অংশে বিভক্ত যথা :- মস্তক,
- বক্ষ ও
- উদর।
- এদের সন্ধিযুক্ত পা ও পুঞ্জাক্ষি থাকে। মৌমাছি থেকে মধু আর রেশম পোকা থেকে রেশমি সুতা পাওয়া যায়।
- চিংড়ি মূলত এক ধরনের পোকা। কিন্তু চিংড়িকে মাছ হিসেবে খাওয়া হয় এবং এটি খুবই সুস্বাদু।
- রুই মাছ মৎস্য শ্রেণিভুক্ত প্রাণী। এরা পানিতে বাস করে। ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়। রুই মাছ আমাদের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে।
- কোকিল, হাঁস পক্ষী শ্রেণিভুক্ত প্রাণী। দেহ পালক দিয়ে আবৃত। এসকল পাখি পালনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়। তাছাড়া, মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিনের উৎস হিসেবেও এসব প্রাণীর ভূমিকা রয়েছে।
গরু, কুকুর, বিড়াল হলো স্তন্যপায়ী শ্রেণিভুক্ত প্রাণী। এদের দেহে লোম থাকে, বাচ্চা মায়ের দুধ খেয়ে বড় হয়, মায়েরা বাচ্চা প্রসব করে। এদের মস্তিষ্ক ও দেহের গঠন বেশ উন্নত।চারপাশের বিভিন্ন শ্রেণীভূক্ত প্রাণীর গুরুত্ব ও এদের সম্পর্কে সচেতনতা
- গরুর দুধ আমাদের জন্য অনেক উপকারী। সুস্থ-সবল থাকার জন্য আমাদের গরুর দুধ পান করতে হয়।
- কুকুর সাধারণত আমাদের বাড়ি পাহারা দিয়ে থাকে। সুন্দর প্রাণী হওয়ায় অনেকে বিড়াল পুষে থাকেন।
- টিকটিকি সরীসৃপ শ্রেণিভুক্ত প্রাণী। এরা বুকে ভর দিয়ে চলে, আঙ্গুলে নখ থাকে, ডিম পাড়ে, ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়। টিকটিকি বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর পতঙ্গ খেয়ে আমাদের বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচায়।
এদের সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য যে যে পদক্ষেপ নেওয়া যায়-
১। এ সকল প্রাণীর জন্য বাসস্থানের সু-ব্যবস্থা করে দিতে হবে। ২। পুষ্টিকর ও আদর্শ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। ৩। বসবাসের ক্ষেত্রে প্রতিকূলতা দূর করতে হবে। ৪। হিংস্র্য প্রাণীর আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে হবে। ৫। উপরোক্ত প্রাণীগুলো আমাদের খাদ্যচাহিদার বিরাট অংশ পূরণ করে থাকে বলে এসকল প্রাণীর সুস্বাস্থ্যে আমাদের তৎপর থাকতে হবে। ৬। এ সকল প্রাণীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। ৭। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বংশবিস্তারের ব্যবস্থা করতে হবে। ৮। এ ধরনের প্রাণি পালনে সাধারণ মানুষকে আহ্বান করতে হবে।>> বাংলা বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর দেখুন : ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অথবা কারো কাছ থেকে শোনা একটি ভ্রমণ কাহিনী বর্ণনা দিয়ে ১৫০ শব্দের একটি নিবন্ধ রচনা<<
আরো দেখুন-
- বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া ও পরিমাপ এবং জীব জগৎ
- জীববিজ্ঞান : দশম অধ্যায় : প্রাণীর সমন্বয়
- কৃষি প্রযুক্তিগুলো ব্যবহার করে বাংলাদেশে কৃষি উন্নয়ন সম্ভব